টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের হতাশা ভোলার ভালো সুযোগ পেয়েছিল বাংলাদেশ। মিরপুরের পরিচিত উইকেট ও পাকিস্তানের টপ অর্ডারের ব্যর্থতা মিলিয়ে আজ জয়ের ভালো সম্ভাবনা জেগেছিল বাংলাদেশের। কিন্তু স্লগ ওভারের অপরিকল্পিত বোলিং বাংলাদেশকে ডুবিয়েছে আজ। টি-টোয়েন্টিতে টানা ষষ্ঠ হারের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ।
উইকেট বদলালেও বদলায়নি মাহমুদুল্লাহদের পারফরম্যান্স। শেষ পাঁচ ম্যাচের মতো ব্যাটিং ইউনিটে নামে ধস। এই উইকেটে নিজেদের পারফরম্যান্স ভালো হবে বলে আশাবাদী ছিলেন টাইগার অধিনায়ক। তিনি চেয়েছিলেন ১৪০ রানের দলীয় সংগ্রহ। ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে ১২৭ রানে আটকে যায় স্বাগতিক দল।
হারের বৃত্তে ঘুরপাক খাওয়া এক দল নিয়ে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ আগামী ম্যাচ নিয়ে আশার স্বপ্ন বুনছেন। বলছেন, আগামীকাল সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আরও ভালো পরিকল্পনা নিয়ে নামার কথা। আজ নিজের প্রথম কাজটা ঠিকঠাক করতে পেরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। টসে জিতেছিলেন। আর জিতেই ব্যাটিং বেছে নিয়েছিলেন। কিন্তু সে সিদ্ধান্তকে সঠিক বলার কোনো সুযোগ দেননি ব্যাটসম্যানরা।
আগামীকাল তাই সিরিজ হার এড়ানোর লক্ষ্যে ভালো পরিকল্পনা করতে চাইছেন, ‘যখন ব্যাট করতে চেয়েছি, তখন ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ ভালো উইকেটই মনে হয়েছিল, কিন্তু বোলারদের জন্যও কিছু থাকবে বলে মনে হয়েছে। আশা করি, আগামীকাল আমরা আরও ভালো পরিকল্পনা নিয়ে নামতে পারব। এই পরিকল্পনায় বোলিং আক্রমণ সাজানোর বিষয়টা নিশ্চয় গুরুত্ব পাবে।
ম্যাচ শেষে রিয়াদ বলেন, ‘ভেবেছিলাম উইকেট ভালো থাকা অবস্থায় ব্যাট করতে। যেন পরে বোলারদের জন্য সুবিধা হয়। আশা করছি শনিবার আরও ভালো পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নামব। তিনি যোগ করেন, ‘দ্রুত কয়েকটি উইকেট তুলে নিতে চেয়েছি। আমাদের বোলাররা সেটা করেছে।
খুব কাছে গিয়েছিলাম কিন্তু পুরো কৃতিত্ব তাদের শেষ দুই ব্যাটারের।’ সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে চাপে পড়তে হয় পাকিস্তানকেও। উইকেট কঠিন হওয়ার কারণেই সফরকারী ক্যাম্পে নামে ব্যাটিং বিপর্যয়, এমনটা মনে করছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম।