বাংলাদেশ-পাকিস্তানের সিরিজকে নিয়ে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলছে শুরু থেকে। সিরিজ শুরুর আগে থেকেই শুরু হয় এসব আলোচনা। পাকিস্তান দল অনুশীলনের সময় পতকা উড়ানো নিয়ে বাংলাদেশের মিডিয়াতে তোলপাড় শুরু হয়।
এরপর পতাকা উড়ানো নিয়ে পাকিস্তান দল তাদের ব্যাখ্যা দিলেও অনেক বাংলাদেশি সমর্থকই তাতে সন্তুষ্ট হননি। এই ঘটনায় কোন প্রদক্ষেপ না নেওয়ায় ৪০ বিশিষ্ট নাগরিক দাবি তুলেছেন ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও বিসিবি সভাপতির পদত্যাগের।
রোববার এক বিবৃতিতে তারা একথা বলেন। পাশাপাশি বিবৃতিতে এই ঘটনায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, বিসিসির ‘নীরবতার’ তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। বিবৃতিদাতারা বলেন, ‘বাংলাদেশ ক্রিকেট শাসক সংস্থা বিসিবি পুরোপুরি নিশ্চুপ! আমরা অবাক হচ্ছি এ ব্যাপারে সরকারের নীরবতা প্রত্যক্ষ করেও।
এমন একটি ঘটনায় তাদের নীরবতা কি জাতি হিসেবে আমাদের দুর্বলতা ও চেতনায় কালব্যাধিকেই ইঙ্গিত করে না? আমাদের চেতনা কি এতোখানিই ক্ষয়প্রাপ্ত ও বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে গেছে?
এভাবে চলতে থাকলে আমাদের যে এক সময় প্রতিবাদেরও কোনও সুযোগ থাকবে না- এর চেয়ে মর্মান্তিক নির্জীবতা ও দেউলিয়াপনার উদাহরণ কি পৃথিবীর কোথাও আছে? তারা আরও বলেন, ‘এমতাবস্থায়, আমরা মনে করি, ক্রীড়ামন্ত্রী তার দায় এড়াতে পারে না, সরকারও তার দায় এড়াতে পারে না।
এত কিছুর পরে আমরা মনে করি না স্বাধীন বাংলাদেশে এই দায়িত্ব পালনের অধিকার আর তাদের আছে। আমরা ক্রীড়ামন্ত্রী, হকি ফেডারেশন ও বিসিবিকে তীব্র নিন্দা এবং ঘৃণা জ্ঞাপন করছি এবং তাদের পদত্যাগ দাবি করছি।
পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের এ আচরণকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় পতাকা আইনের ‘সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ এবং এই ঘটনার মধ্য দিয়ে পাকিস্তান ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে ও পরিকল্পিতভাবে’ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমকে ‘অপমান’ করেছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করেন তারা।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে মিরপুরের একাডেমি মাঠে পাকিস্তানের জাতীয় পতাকা ওড়ানোর ধৃষ্টতা দেখাচ্ছে পাকিস্তান ক্রিকেট দল। দুটিকেই ইচ্ছাকৃত ও ষড়যন্ত্র করেই করা হচ্ছে বলে আমরা মনে করি। যা আমাদের সমস্ত লড়াই-সংগ্রাম-অর্জনকে লুট করারই সামিল।
এই সমস্ত কিছুই মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সরকারের সময়ে দেশে ঘটতে দেখা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। যারা এগুলো করেছে তারা কোনভাবেই সৎ উদ্দেশ্যে করেনি।
তাইতো অতিদ্রুত বিসিবি সভাপতির পদত্যাগের চান বিশিষ্ট নাগরিকরা ।