ইতিহাসে সেরা অধিনায়ক মাশরাফি

শীর্ষে মাশরাফি, রোহিত

প্রতিবেদনটা যখন লিখবো লিখবো করছিলাম, তখন হঠাৎ করে আমার এক বন্ধু মেসেজ করে বসল, ‘ভাই, এতো অপারেশনের পরও মাশরাফি খেলছে কিভাবে? আমার তো একবার পায়ের মাংসপেশিতে টান লাগার পর এক সপ্তাহ ঠিকমতো হাঁটাচলাও করতে পারিনি।’


আশেপাশের ক্রিকেট আড্ডায় কান পাতলে এমন প্রশ্ন অবশ্য প্রায়ই শোনা যায়। তাই যেই মানুষটি ১৩টি ইনজুরির ধকল সামনে একটি দেশের জাতীয় পতাকাকে বিশ্বমঞ্চে গর্বের সঙ্গে মেলে ধরতে পারেন, অবাধ্য পা যাঁর এগিয়ে চলাকে আটকাতে পারে না, তিনি যদি ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের সফলতম অধিনায়কে পরিণত হন, তবে তাতে অবাক হওয়ার মতো কোনোকিছু নেই। 

এরপরও যদি কারো মনে সন্দেহ থেকে থাকে, সেটাও এখন দূর করে দিচ্ছি। বিপিএলের সাত আসরের প্রতিটিতেই কোনো না কোনো দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ‘ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক’ মাশরাফি। যেখানে ঢাকাকে দুইবার এবং কুমিল্লা ও রংপুরকে একবার করে শিরোপার স্বাদ পাইয়ে দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে ভিন্ন ভিন্ন আসরে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো মোট ৮৬টি ম্যাচ খেলেছে। 



এরমধ্যে ৩২টি ম্যাচে হারলেও, জয়ের দেখা পেয়েছেন বাকি ৫৪টি ম্যাচেই। শতকরা জয়ের হার ৬২.৭৯ শতাংশ। তবে বিপিএলের বাইরে অন্য কোনো লিগে কখনো নেতৃত্ব দেওয়ার সুযোগ পাননি তিনি।

অন্যদিকে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় লিগ আইপিএলেও মোট সাতটি আসরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে নেতৃত্ব দিয়ে চারবার শিরোপা জিতিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটার রোহিত শর্মা। 

তবে ১০৪ ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেওয়া রোহিত শর্মা গড় ম্যাচ জয়ের দিক থেকে মাশরাফির তুলনায় কিছুটা পিছিয়ে রয়েছেন। ৪২টি ম্যাচে পরাজয়ের পাশাপাশি ২টিতে ড্র করা রোহিত শর্মার ম্যাচ জয়ের শতকরা হার ৫৭.৭৮ শতাংশ।

একমাত্র মাশরাফি ব্যতীত বিপিএলের অন্য কোনো অধিনায়কেরই একাধিক শিরোপা নেই। এদিকে ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের জগতে পিএসএল তো রীতিমতো ‘কচি বাচ্চা’! মাত্র চারটি মৌসুম পার করে পঞ্চমটিতে পা রেখেছে তারা। 

সেটিও আবার করোনার কারণে সেমিফাইনাল পর্বের আগেই বাতিল হয়ে গেছে। তাই তাদের কোনো অধিনায়কের কপালে এখনো একাধিক ট্রফি না জুটাই স্বাভাবিক। এবার বাকি রইল আইপিএল, সিপিএল এবং বিগ ব্যাশ। আর এই তিন লিগের তিন অধিনায়কের দখলে রয়েছে দুইটি করে লিগ শিরোপা।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Recent in Sports