বাংলাদেশ-শ্রীলংকা জন্য IPL কে না করলেন ধর্মসেনা

 


ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক ক্রিকেট টুর্নামেন্ট গুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার আইপিএল (IPL) . কুমার ধর্মসেনা একজন দক্ষ আম্পয়ার ,যার প্রতিফল হিসেবে প্রায় অনেক বছর যাবৎ আইপিএল নিয়মিত আম্পিয়ারিং করে আসতেছেন।


কিন্তু এই বছর ঘটলো অপ্রত্যাশিত ঘটনা - তিনি  ২০২০ সালের আইপিএল  এই আসরে  এবার আম্পেয়ারিং করতে পারবে না । তিনি আইপিএল আম্পিয়ারিং করার প্রস্তাব পাননি এই রকমও  না।  তবে আমি জানি কিছু দিন পর  বাংলাদেশ-শ্রীলংকা সিরিজে শুরু তাতে করে আইপিএল এবং আসন্ন বাংলাদেশ-শ্রীলংকা সিরিজে এক সাথে শুরু হচ্ছে। তাই কুমান ধধর্মসেনা কে একটি টুর্নামেন্ট পছন্দ করতে হবে।  তাই তিনি আসন্ন বাংলাদেশ-শ্রীলংকা সিরিজে আম্পায়ারিং করতে আইপিএলের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছেন।


অনেক দিন যাবৎ তিনি  ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে অন্তর্ভুক্ত আছেন। বিশ্বের মধ্যে এই সকল বড় টুনাম্যান্ট গুলো হয়,  প্রায় সব গুলো টুনাম্যান্ট এ তিনি থাকেন।  তবে এবার নিজ দেশের কথা চিন্তা করে আইপিএল সহ অন্য টুনাম্যান্ট গুলোকে না করে  দিয়েছেন।  তার আম্পিয়ারিং বিচার বিশ্লেষণ করলে দেখতে পাবেন তিনি আইপিএল সহ যেকোনো ক্রিকেট টুর্নামেন্টেই নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

 শ্রীলংকার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘ ক্রিকেটের সর্বোচ্চ সংথা আইসিসি বাংলাদেশ-শ্রীলংকা সিরিজের জন্য কুমার ধর্মসেনা এবং রঞ্জন মাদুগালেকে ম্যাচ অফিসিয়াল অপম্পিয়ার হিসেবে অন্তর্ভূক্ত করেছে যার  ফলে তারা দুইজন এই সিরিজের আম্পিয়ারিং দায়িত্ব পালন করবনে।

বাংলাদেশ-শ্রীলংকা তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে ধর্মসেনার সঙ্গে রিজার্ভ আম্পায়ার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন লিনডন হানিবাল, রুচিরা পালিয়াগুরুগে এবং প্রিগিত রাম্বুকেল্লা। - 



শ্রীলংকা - বাংলাদেশ নিয়ে ৩ টেস্ট সিরিজ নিয়ে এতো নাটকীয়তা কেন ? 

শ্রীলংকা বাংলাদেশের টেস্ট সিরিজ হবে কিনা সেইটা ২ পক্ষ থেকে এখনো কনফার্ম করা হয়নি বিশেষ করে শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ড থেকে এখনো কোন ফাইনলান সিদ্ধান্ত জানানো হয়নি । কো'রনার কারণে শ্রীলংকার ক্রিকেট বোর্ড এই সিরিজ নিয়ে খুব একটা আগ্রহ দেখাছেনা উল্ট তারা একটা তামাশা তরি করে রাখছে যা মোটেও কোন দেশের ক্রিকেটের জন্য ভালো দিক না । সব সময় শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের ক্রিকেটের মধ্যে একটি বন্ধুত পুর্ণ সম্পর্ক আছে কিন্তু এই সিরিজ কে কেন্দ্র করে যেইসকল তামাশা সৃষ্টী হলো তাতে করে খুব ভালো করে স্পষ্ট হয়ে গেলো আসলে বর্তমান শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ড আর বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যে ভালো একটা সম্পর্ক নেই । কারণ যেই দেশে দল খেলতে যাবে সেই দেশ একটু বেশি আন্তরিক হওয়া উচিত কিন্তু এখানে দেখা যাচ্ছে পুরু উলট । 


শ্রীলংকা সরাসরি জানিয়ে দিয়েছে যদি বাংলাদেশ ১৪  দিনের কোয়ারেন্টামের শর্ত মেনে যেতে চাই তাহলেই শুধু শ্রীলংকা ও বাংলাদেশের সিরিজ হবে যা একটা দেশের ক্রিকেটের জন্য মোটেও শুভ বার্তা বয়ে নিয়ে আসে না। কারণ যেখানে ইংল্যান্ড , পাকিস্তান ও অস্ট্রলিয়ার মত দল ইংল্যান্ড সফর করেছে আর তারা মাত্র ৭ দিনের কোয়ারেন্ট্যমে ছিল সেখান শ্রীলংকা ক্রিকেট বোর্ড বাংলাদেশ কে ১৪ দিন কোয়ারেন্টামের শর্ত দিয়ে দিয়েছে সাথে এই ১৪ দিন রুম থেকে বের হওয়া যাবে না , হোটেলের বাহিরে কোথাও যাওয়া যাবে না , তাছাড়া প্রেক্টিস ও করতে পারবে না । তাহলে এক দল ভিন্ন কোন দেশে যাওয়ার পর কিভাবে ১৪ দিন বসে থেকে আর প্রেক্টিস না করে সরাসরি খেলতে নেমে যাবে। আসলে এই সকল যুক্তি এবং শর্ত দেখে খুব ভালো করে চিন্তা করা যায় , শ্রীলংকা বাংলাদেশ কে তেমন মুল্য দিচ্ছে না । তারা  এই সিরিজ না খেলার একটা দান্ধা খোজছে ।


আমরা অনেকে ইতি মধ্যে জেযে গেছি কিছু দিন পর শ্রীলংকা প্রিমিয়ার লীগ চালো করতে যাচ্ছে যেখান বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান সহ অনেক বাংলাদেশি ক্রিকেটার খেলার সম্ভবাবনা আছে যদি এখনো কোন কিছু চুরান্ত হয়নি । তাতে করে আর একটা গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে , শ্রীলংকা প্রিমিয়ার লীগ যেহেতু সময় অনেক কাছে চলে এসেছে তাই তারা বাংলাদেশের এই সিরিজ কে এতো গুরুত্ব দিচ্ছে না। তবে এই সিরিজ বাংলাদেশের জন্য গুরুত্ব কারণ এখন টেস্ট চ্যাম্পিয়ার চলতেছে তাই প্রত্যেক টি টেস্ট ম্যাচ খুব গুরুত্বপুর্ণ । 



গত কালকের নতুন আপডেট মতোবাকে জানা জাচ্ছে , শ্রীলংকা আসলে এখন ৩ টি টেস্ট ম্যাচ খেলতে আগ্রহি না । তারা চাচ্ছে টেস্ট ম্যাচ আরো কমিয়ে নিয়ে আসতে তবে  এখনো পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড থেকে কোন সিদ্ধান্ত জানা যায় নি । সব কিছু মিলিইয়ে এখনো দুয়াশা ঘুর পাক খাচ্ছে আসলে শ্রীলংকা কি চাচ্ছে । এক দিকে কো'রনার দুহায় দিয়ে বাংলাদেশ কে ১৪ দিন বন্ধী করে রাখতে চাচ্ছে ও সে সাথে ক্রিকেটার ছাড়া অন্য কেউ যেতে পারবে না । এমন কি বাংলাদেশ থেকে কোন থুয়ার ও যেতে পারবে না তার শ্রীলংকা বোর্ড থুয়ার দিবে কিনা সেইটা নিশ্চিত না । অন্য দিক দিয়ে শ্রীলংকা ক্রিকেট প্লেয়াররা অনুশীলন করতে পারবে কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটের রা অনুশীলন ছাড়া মাঠে নামতে হবে । তাছাড়া শ্রীলংকার এক মাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ হওয়ার কথা ছিল সেইটা ও হবে কিনা সিউর দিচ্ছে না । 



সব কিছু মিলিয়ে এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড সর্বশেষ  সিদ্ধান্ত নেয়া উচিত কারণ সব শ্রীলংকার শর্ত মেনে খেলতে যেতে হবে তার ত কোন মানে হয় না তাছাড়া প্রত্যেক টা দেশের একটা রুস এন্ড রেগুলেশন থাকে । তাতে করে বাংলাদেশের বরা ডুবি হবে তাত কোন সন্দেহ নেই । এমনি কি শ্রীলংকায় ১ বছর আগে  বোমা হয়েছিল কিন্তু সেই সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড রিস্ক নিয়ে তাদের প্লেয়ারদের পাঠিয়ে ছিল আর আজ সেই কথা ও শ্রীলংকার ভুলে বসেছে। কোন কারণ বস্ত যদি শ্রীলংকার সাথে এখন সিরিজ না হয় তাহলে বাংলাদেশের উচিত অন্য অন্য দেশের মত তাদের লীগ গুলো তে সময় দেয়া এবং লোকার প্রেয়ার দের কে তৈরি করা । আরো ভালো হয় যদি বিপিএল আয়োজন করতে পারে কারণ ইতি মধ্যে সিপিএল , আইপিএল , এসপিএল ও পিএসএল হয়ে যাচ্ছে এবং যাবে তাতে করে ঐদেশের ক্রিকেটার ও সুযোগ পাবে এবং নতুন কাউকে পাওয়া যাবে । 


ক্রিকেট ভদ্র লোকের খেলা তাই সব আলোচনা সমালোচা ছাপিয়ে আশা করা যায় মুধুর সম্পর্কের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ ও শ্রীলংকার সিরিজ শেষ পর্যন্ত ক্রিকেট প্রেমিরা দেখতে পারবে । 



























Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Recent in Sports