বার্সেলোনা সুপারস্টার লিওনেল মেসি অন্ধ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বাচ্চাদের সহায়তায় জন্য ক্যাম্পেইন শুরু করেছেন। দৃষ্টি শক্তিতে সহায়ক করবে এই রকম ডিভাইস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ওরক্যামের সঙ্গে মিলে এই উদ্যোগটি গ্রহণ করেছেন ভক্তদের প্রাণপ্রিয় ফুটবলার সুপারস্টার মেসি।
বেশ কিছু সংখ্যক অন্ধ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বাচ্চাকে মূল্যবান ‘ওরক্যাম মাইআই’ ডিভাইস দিয়েছেন । এই ডিভাস গুলো তৈরি করে থাকেন ইসয়াইলের প্রযুক্তি নির্মিত প্রতিষ্টান এবং এই বিশেষ ডিভাইস টিতে রয়েছে চমকপদ কিছু ফিউচার যা অন্ধ ও দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মানুষ দেখার সুযোগ করে দিবে। এই চশমাটির দাম প্রায় ৪ হাজার ২০০ পাউন্ড যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা তবে এতো টাকা হলেও উপহার হিসেবে বাচ্চারদের দিচ্ছেন মেসি।
তবে এই সুযোগ টি সব দেশ পাচ্ছে না তাই কিছু দেশ বাঁচায় করে সেসব দেশ থেকে অন্ধ শিশু এই ডিভাইসটি পাচ্ছেন গ্রহের নক্ষত মেসি এর পক্ষ থেকে তবে এরই মধ্যে বেশ কিছু সংখ্যক সদস্য কে ‘দৃষ্টি ফেরানো’ চশমাটি হস্তান্তর করেছেন মেসি। সেই সাথে তারা এটি পরে সময়ের অন্যতম সেরা ফুটবলারের সঙ্গে সাক্ষাৎও করেছে।
বিশ্বের কাছে মেসি এমন ভাবে সুপরিচিত হয়েছে , বিশ্বের প্রায় সব গুলো দেশ মেসি কে খুব ভালো করে চিনে হক সেই দেশটি গরিব বা নিম্ন আয়ের দেশ । গ্রাম থেকে শহর আর শহর থেকে পৃথিবীর আনাছে কানাছে পর্যন্ত সেমির জয়গান । সেমি মানে ফুটবলের বরপুত্র, মেসি মানে ফুটবলের জয় জয় গান । মেসির ভালোবাসায় সারা বিশ্ব জয়গান গায় আর সেই মেসি যদি বক্তদ্যের জন্য অবিশ্বাস কিছু না করে তাহলে কিভাবে হবে।
মেসি সব সময় সরল ও নরম মানুষ হিসেবে সবার কাছে সুপরিচিত । কথা তেমন বেশি বলে না তবে যা বলে খুবই কার্যকরী । বিশেষ করে নিজ্ব দলের ও মানুষের প্রতি তার অন্যরকম ভালোবাসা কাজ করে । বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মানবিক কাজের জন্য অনেক বার আলোচনাই এসেছিলেন । বিশেষ করে সিরিয়ার ছোট সেই মেসি বক্তর কথা মনে আছে আপনাদের , যেই শিশু মেসিকে এতো ভালোবাসত , বাজারের পলিটিন ব্যাগ দিয়ে জামা বানিয়ে মেসির নাম লিখা রাখত এবং সেই জার্সি দিয়ে দিয়ে ফুটবল দেখতে তাতে করে এক সময় এই জার্সি পড়া ছেলে টি ভাইরাল হয় এবং এক সময় মেসির চোখে । পরে মেসি এই ছোট শিশু বক্তকে সরাসরি মেসির সাথে সাক্ষাত করার অনুমতি দিয়েছিল এবং বার্সেলোনায় একটা ম্যাচের দিন মেসির সাথে দেখা করেন সেই সিরিয়ার ছোট শিশু বক্ত এবং মেসি তাকে কোলে নিয়ে চুম দিয়ে ছিল এবং মেসির অটুগ্রাফ সহ একটি জার্সি গ্রীফট করে ছিল সেই ছোট শিশু বক্তকে । তাহলে বুঝতেই পারছেন মেসির ভালোবাসা শুধু ২০-৫০ বছরের মানুষের জন্য না , মেসিকে ভালোবাসেন ছোট শিশু থেকে শুরু করে ৮০ বছরের বেশি বয়স্ক বৃদ্ধা পর্যন্ত।
কো'রনার সময় সারা বিশ্বর সকল মানুষ খুব সংক্টময় সময় দিয়ে যাচ্ছে , তবে বিশেষ করে যাদের অর্থনীতিক অবস্তা তেমন ভালো না তাদের অবস্তা আরো বয়াভহ । আর যাদের শারিরিক সমস্যা আছে ,মানে শারিরিক প্রতিবন্ধি তাদের অবস্তা আরো খারাপ, । চোখে না দেখা অন্ধ প্রতিবন্ধীর কি অবস্তা হবে তাহলে একটু উপলব্ধি করলেই বুঝতে পারবেন । অন্ধ প্রতিবন্ধীদের জন্য এবার বিষেশ কিছু করেছেন যা প্রতি বারের মত মানুষের কাছে ভালোবাসার পাত্র হয়ে যান মেসি । আর সেই সাথে মেসি মানে অন্যরকম কিছু হবে এইটা ও সবাই বিশ্বাস করেন । তাই ফুটবলের নক্ষত এবার অন্ধ প্রতিবন্ধি শিশুরা যেন চোখ দেখতে পান তাদের জন্য উচ্চ প্রযুক্তি সম্পুর্ণ চশমা ক্রয় করে দিয়েছেন যা তাদের কে দেখতে এবং সামনের এলিম্যান্ট আইডেন্টিফাই করতে সাহায্য করবে।
প্রতি বছর বিভিন্ন নতুন নতুন প্রযুক্তি বের হচ্ছে , যার মধ্যে থেকে বেশি সংখ্যক প্রযুক্তি বানানো হয় মানব সেবার উপকার হিসেবে । মেসি যেই চশমা গুলো অন্ধ প্রতিবন্ধি শিশুদের দিচ্ছেন তাদের চশমা গুলো প্রযুক্তি বরপুর তাই দাম ও একটু বেশি এবং সুযোগ সুবিধাও একটু বেশি । পৃথিবীর যেই ভালো কাজ করক না কেন , সব কিছু মিলিয়ে ভালো কাজ গুলো সবার মনে কেরে নিবে। হক সেইটা মেসি বা অন্য কেউ , ভালো কাজের জন্য আপনি একদিন ফলাফল ভোগ করবেন এইটা বিশ্বাস রাখা উচিত । তাই মেসির মত মানুষের মত প্রত্যেক মানুষের প্রয়োজন মানুষ কে ভালোবাসা এবং মানুষের উপকার করা ।