ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকাকে আর দেখা যাবে না নিষেধাজ্ঞা



সবচেয়ে বড়  সংকটে দিকে যাচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট।  আবারও একবার ক্রিকেট থেকে বহিস্কার  হতে পারে নেলসন ম্যান্ডেলার দেশ দক্ষিণ আফ্রিকা । কারণ হিসেবে দুর্নীতি কে প্রকাশ করেছে দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার সেই অভিযোগ কে কেন্দ্র করে  ভেঙে দেওয়া হয়েছে সে দেশের ক্রিকেট বোর্ড। তাতে করে  দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেটের সকল  ক্ষমতা চলে গিয়েছে সরকারের হাতে। যা কিনা আবার আইসিসি’র নিয়ম বিরুদ্ধ। যার ফলে আবারও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে থেকে বড় ধরণের বহিস্কারের মত নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে প্রোটিয়া ক্রিকেটারদের উপর। এমনই আশঙ্কা করা হচ্ছে বেশি সংখ্যক সংবাদ মাধ্যমে। 


অনেক দিন যাবত  ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা বা সিএসএ-এর কার্যকলাপে নাখুশ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার। দুর্নীতির মত অভিযোগ বারেবারে ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে  উঠছিল। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ড ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার। তাছাড়া পাশাপাশি বোর্ডের কর্মকর্তাদের সরে দাঁড়াতে বলা হয়। অন্য দিকে তার প্রতিফলে  দক্ষিণ আফ্রিকার খেলাধুলার সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘সাউথ আফ্রিকান স্পোর্টস কনফেডারেশন অ্যান্ড অলিম্পিক কমিটি ক্রিকেট বোর্ডের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নিয়েছে ।

এক বিবৃতিতে SASCOC এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ‘২০১৯ সালে প্রায় শেষের দিকে ডিসেম্বর মাস থেকেই সিএসএ-তে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসতে থাকে। তাতে করে নিজেদের মধ্যেই বিশ্বাসযোগ্যতার অভাব দেখা যাচ্ছিল এবং  ক্রিকেটের উপর থেকে বিশ্বাস সরে যাচ্ছিল। যার বেশি প্রভাব পড়ছিল খেলোয়াড়দের পারফরম্যান্সেও। আর একটি বিষয় নিশ্চিত করা হয়েছে, ইতিমধ্যে  গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সেই সাথে এই  কমিটি এক মাসের মধ্যে চূড়ান্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।

এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকা সরকারের এই সিদ্ধান্তে প্রোটিয়াদের উপর আইসিসির (ICC) নিষেদ্ধাগার মত বিপদজঙ্ক খবর  ঝুলছে। কারণ IIC নিয়মে আছে কোন দেশের সরকার ক্রিকেট সংস্থার উপর নিয়ন্ত্রণ পারবে না যদি এই রকম কিছু করা হয় তাহলে আইসিসির (ICC) থেকে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞার সম্মুখিন হতে হবে যা  এই ব্যাপারে স্পষ্ট নিয়মও রয়েছে। গত বছর জিম্বাবোয়ের সরকার সেদেশের ক্রিকেট বোর্ডের উপর নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর তাদের ওপরেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছিল। এখন দেখার বিষয় ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকার উপরও একই নিষেধাজ্ঞা নেমে আসে কিনা। অন্যদিক দিক দিয়ে খুশির সংবাদ আছে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বোর্ডের জন্য কারণ  করোনা আবহে শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার সিরিজ পিছিয়ে গিয়েছে। তাই আপাতত কিছুটা সময় আছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকার হাতে সমস্যা সমাধানে ।



দক্ষিণ আফ্রিকায় ভালো মানের অনেক গুলো ক্রিকেট খেলোয়ার আছে যাদের নাম না বললেন নয়, যাদের অবদানে আজকে দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দুনিয়ায় এতো জনপ্রিয় । বিশেষ করে বর্তমান দক্ষিণ আফ্রিকার  লিজেন্ডারি কিক্রেটার এবি ডি ব্লিয়ার্স , রাবাডা, হাশিম আমলা, ড্রোপ্লেস , ডি কক ও ডুমিনি । দক্ষিণ আফ্রিকার এই ৬ ক্রিকেটের ক্রিকেট বিশ্বকে খুব ভালো করে কাপাচ্ছেন বিশেষ করে তারা বিশ্বের সব গুলো ফ্যাঞ্চাজি টুনাম্যান্ট ডাক পান এবং খুব ভালো পরিমাণ টাকা দিয়ে তাদের কে ক্রয় করতে হয় কারণ তাদের খেলার ধরণ ও মান অন্য সব ক্রিকেটার থেকে একটু ভিন্ন। 


বিশেষ করে আইপিএল, বিগ ব্যাশ , পিএসএল তাদের খুব রিগুলার দেখা যায় যদিও বাংলাদেশের বিপিএল এ তেমন দেখা যায় না কারণ বাংলাদের বিপিএল খেলতে তাদের মধ্যে তেমন বেশি আগ্রহ দেখা যায় না যদি এবি ডি ব্লিয়ার্স ও ডি কক বিপিএল খেলে গেছেন । কারণ হিসেবে ধরা যায় , বিপিএল তেমন জনপ্রিয় না , টাকার পরিমাণ ও কম, তাছাড়া বাংলাদেশের পরিবেশ তাদের তেমন ভালো লাগে না । সব কিছু মিলিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ভালো মানের ক্রিকেটের বাংলাদেশের ফ্যাঞ্জাজি লীগে তাদের  কে খুব কম দেখা যায় । 

এবি ডি ব্লিয়ার্স্কে আমরা ৩৬০ ডিগ্রি বলে জানি , কারণ তিনি মাঠের চার দিকে বলার কে পিঠাতে পারেন এবং তা খুব নিখুত ভাবে তাই সবার কাছে ৩৬০ ডিগ্রি সিসেবে সবার কাছে খুব সুপরিচিত । অন্য দিক দিয়ে রাবাডা চমকার প্রেস বল করে থাকেন যা ব্যাটিং করা অনেক টা কষ্ট কর । তাই রাবাডা খুব কম সময়ে অনেক জনপ্রিয় হয়ে যায় , তার বলের গতি ও সুমিং বুঝা অনেক কষ্ট হয়ে পরে একজন ব্যাটীং ম্যানের । তাই সব কিছু মিলিয়ে এই সকল ট্যালেন্টের জন্য রাবাডা বিভিন্ন ফ্যাঞ্জচাইজি টুনামেন্ট গুলো খেলার সুযোগ  পায়। ডি কক একজন ইউকেট কিপার ও ভালো মানের ব্যাসম্যান্ট তাই তার গুরুত্ব যেকোন দলের জন্য আকাশ চুম্ভি চাহিদা কারণ একের ভিতর ২ । ডি কক এক দিকে ভালো ব্যাটিং ও ইউকেট কিপারে দায়িত্ব পালণ করতে পারে এবং ব্যাটীং এর মান ও খুব মান সম্মত তাই সব কিছু মিলিয়ে ডি কক ও বিশ্বের প্রায় সব গুলো ফ্যাঞ্জাইজি টুনামেন্ট খেলে থাকেন। 


ডুমিনি এক সময় ক্রিকেট ইতিহাসে আতংকের নাম ছিল , যেমন ভালো ব্যাটীং করতে তেমন ভালো বল করত । ডি কক এর মত একের ভিতর ২  পেয়ে যেত তাই ডুমিনির ও ডিমান ছিল খুব ভালো । তাই ডুমিনিকে প্রায় সব গুলো টুনামেন্ট দেখা যেত তবে বর্তমান তার ব্যাট ও বলে তেমন ধাজ নেই তাই তেমন লীগ গুলো ডাক পাচ্ছ এ না । তবে মিডিয়াম লেভেলের টুনামেন্ট গুলোতে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন । হাশিম আমলা ও ডুপ্লেসেস তারা ২ জন দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটের ব্যাটীং অডারের অক্ষত । হাশিম আমলা দক্ষিণ আফ্রিকার একমাত্র মুসলিম ক্রিকেটার ও ঠান্ডা মাথার খেলোয়ার । তিনি যত সময় মাঠে থাকেন তত সময় চেষ্টা করেন ঠান্ডা মাথায় ভালো এক্ট রান করে দিয়ে আসা যা তিনি নিয়মিত করে আসসেন তাই সবার কাছে ভালো মানুষ ও ঠান্ডা মাথার খেলোয়ার হিসেবে সবার কাছে উপরিচিত । তবে তিনি ফ্যাঞ্চাইজি টুনাম্যান্ট গুলো তেমন খেলেন না , তবে ২০১৫ সালের   পর থেকে মাঝে মাঝে বিভিন্ন টুনামেন্টে দেখে যেত যদিও রিগুলার না । বরাবরের মত ফ্যাঞ্চাইজি টুনাম্যান্ট হাশিম আমলা খুব কম খেলেন । 

দক্ষিণ আফ্রিকার বর্তমান ক্রিকেটের সফল ক্যাপ্টেন হলেন ডুপ্লেসে তার অবধানে বিভিন্ন বড় বড় আন্তর্জাতিক টুনামেন্টে অংশ গ্রহণ করেছে এবং সাফল্যের সাথে ক্যাপ্টিংসি করে আসসচেন । তার চমকার ক্যাপ্টেন্সি ও ভালো মানের ব্যাটিং করেন তাই মোটামোটি বিশ্বের সব গুলো টুনামেন্টে তাকে দেখা যায় । সব কিছু মিলিয়ে ডুপ্লেসের দক্ষিণ আফ্রিকার আত্তা । 


উপররে আলোচিত ক্রিকেটার গুলোর জন্য আজকে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট বিশ্বের কাছে তো জনপ্রিয় ও দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন । তাই এখন আর দক্ষিণ আফ্রিকা কে ছোট করে চিন্তা করার কোন অবকাশ নেই তাছাড়া তাদের বোর্ড এ যেই সমস্যা চলতেছে এইটাও বেশি দিন থাকবে না কারণ এই গুলো হলে তাদের ক্রিকেট এক সময় ধবংস হয়ে যাবে আর কোন দেশের সরকার প্রধান ও মানুষ কখনো চাইবে না তাদের দেশের ক্রিকেট নাম খেলা হারিকে যাক । তাই বিশ্বের মধ্যে ক্রিকেট টিকে থাকবে খুব ভালো করে সেই চিন্তা থেকে আবার ও ঘুড়ে দাঁড়াবে দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট । 









  
























Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Recent in Sports