এস এস সি পরীক্ষার পর সময়কে কিভাবে কাজে লাগাবেন !
বাংলাদেশের মানুষ ও এস এস সি পরীক্ষাঃ
এস এস সি পরীক্ষা যা বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা নাম অনুসারে SSC মানে হচ্ছে সেকেন্ডারি স্কুল সার্টিফিকেট যা একজন ছাত্র-ছাত্রীকে প্রায় ১০ বছর পড়ালেখা করে অর্জন করতে হয়। আপনি ৫ বছর প্রাইমারি শিক্ষা আর বাকি ৫ বছর হাই স্কুল শিক্ষা গ্রহণ করেই আপনাকে এস এস সি পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দেয়া হয় । এই পরীক্ষা টা আপনি আপনার জীবনের প্রথম সিরি মনে করতে পারেন কারণ এই পরীক্ষার পর থেকে শুরু হয় বাস্তব জীবনের আসল পড়া লিখা। সেই কারণে প্রত্যেক টা ছাত্র-ছাত্রী এই পরীক্ষা নিয়ে খুব টেনশনে থাকে । অনেক পরিবারের স্বপ্ন থাকে তার ছেলে-মেয়ে এস এস সি পাস করবে এবং জীবনের প্রথম সরকারি সার্টিফিকেট অর্জন করবে । সেই সাথে দশ বছর পড়া লিখার সুফল হিসেবে এই সার্টিফিকেট গন্ন্য করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের মানুষের দিক যদি একটু তাকান তাহলে খুব সহজে উপলব্ধি করতে পারবেন, এস এস সি পরীক্ষা সময় কে কি রেজল্ট করল সেইটা নিয়ে সবাই উঠে পরে লাগে যা অন্যান্য পরীক্ষার সময় বিন্দু মাত্র দেখা যায় না । তাই এখানে ভালো রেজাল্ট করলে যেমন প্রসংশা পাওয়া যায় ঠিক খারাপ রেজাল্ট বা ফেল করলে তার উল্টো পিঠ দেখা যায়। এই সকল দিক চিনতে করে সবাই এস এস সি পরীক্ষা সব সময় গুরুত্বের সাথে দেখে থাকে।
কিছু মটিভ্যাশনাল কথাবার্তা
SSC পরীক্ষা শেষ হবার পর মনে এতো শান্তি বোদ্ধ করবেন তখন মনে হবে জীবনে বড় একটা বিপদ থেকে বাচলাম । এখন একটু মুক্তভাবে শ্বাস নিবো । আর কোন টেনশন নেই এখন শুধু জীবন কে অনুভব করব ইত্যাদি নানা রকম চিন্তা আসবে। সেই সাথে পরীক্ষার ফলাফলের দিন যত ক্ষনিয়ে আসবে ভিরতে তত আতংকিত বোধ করা শুরু হবে । তাই পরীক্ষা শেষ হওয়া মানে জীবনে সব শেষ ঐরকম চিন্তা না করে জীবন কে নিয়ে একটু অন্য রকম চিন্তা করতে পারেন কারণ বাস্তব অনেক কটিন যা আপনার জন্য সামনে অপেক্ষা করছে। এস এস সি পরীক্ষা শেষ হলে ছাত্র-ছাত্রীরা লম্বা একটি ছুটি প্রায় ৩ মাস । ৩ মাস পর পরীক্ষার রেজাল্ট ভালো হলে কলেজে ভুর্তি হতে পারেন । তবে আমাদের দেশের অনেক ছাত্র-ছাত্রী জানে না এই সময় কে কিভাবে কাজ লাগানো যায় । বিশেষ করে অনেকে সঠিক গাইড লাইনের অভাবে অনেক পিছিয়ে থাকে । এখন ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগ সব কিছু আপনার হাতের মুঠুই আপনি যখন যা চাচ্ছেন তখন তাই পাচ্ছেন খুব সহজে । তাই এই সময় যদি কেউ বলে সঠিক গাইড লাইনের অভাবে কিছু করতে পারি না বা কি করব বা কোন কাজে এই সময় ব্যবহার করব , কিছু নাইত করার, আমি ছোট আমার কি করার আছে ইত্যাদি প্রশ্ন করে তাহলে সে এখনো এই আধুনিক যুগ থেকে অনেক পিছিয়ে আছে। বিশেষ করে প্রবল ইচ্ছা শক্তি পারে একজন মানুষ কে তার জীবনে লক্ষ পোছে দিতে । তাই তোমার যদি থাকে শিখার প্রবল ইচ্ছা শক্তি তাহলে জীবনে তুমি অনেক কিছু করতে পারবে ।
কিভাবে করব ?
কি করবেন সেইটা নির্ভর করবে আপনার উপর । আগে বুঝতে হবে আপনার কি করতে ভালো লাগে। আপনার জীবনের প্রধান ইচ্ছা কি । আপনার জীবনে কাউকে মেন্টর হিসেবে মনে করেন তাকে ফ্লো করতে পারেন । তার কাছ থেকে আদেশ উপদেশ নিতে পারেন এবং তার কাছে আপনার ইচ্ছা শক্তি টা প্রকাশ করতে পারেন হতে পারে সে আপনাকে ভালো একটি আইডিয়া দিতে পারে।
তবে একটা কথা খুব ভালো করে মনে রাখা উচিত । এই ৩ মাস যেমন লম্বা সময় না ঠিক তেমনি ছোট সময় ও না তাই এই ৩ মাসে বিরাট কিছু শিখে ফেলবেন যদি ঐরকম কিছু চিন্তা করে থাকেন তাহলে একসময় আপনার একটু খটটা লাগতে পারে। তবে আপনি এই সংক্ষিপ্ত ৩ মাস সময় কি কি কাজে ব্যবহার করতে পারেন সেইটা নিয়ে কথা বলা যাক । এমনও হতে পারে এই ৩ মাস আপনার ফুল জীবন কে পরিবর্তন করে দিতে পারে । কারণ সঠিক পথে আর সঠিক টাইমে সময় কে সঠিক কাজে ব্যবহার করতে পারলে , জীবনের অনেক কিছু পুর্ণ করে ফেলতে পারেন । বিশেষ করে টাকা ইনকামের একটি ভালো পথ তৈরি করতে পারেন।
কম্পিউটার শিখুনঃ
বর্তমান কম্পিউটারে প্রয়োজনীয়তা এবং ভবিষ্যত খুবি ভালো তাই এখন থেকে যদি কম্পিউটারের কিছু কাজ শিখে রাখতে পারেন তাহলে আপনি অন্যদের থেকে একটু হলেও আগিয়ে থাকবেন। বিশেষ করে চাকরি ক্ষেত্রে কম্পিউটার খুব বেশি ব্যবহার হয় । তাই চাকরির কথা চিন্তা করে কম্পিউটারে কিছু কমন কাজ শিখে রাখতে পারেন যার মধ্যে অন্যতম মাইক্রোফট ওয়ার্ড, এক্লসেল, ও পাওয়ার পয়েন্ট। চাকরি এবং নিজের ব্যাক্তিগত কাজের জন্য মাইক্রোফট ওয়ার্ড, এক্লসেল, ও পাওয়ার পয়েন্ট অনেক ব্যবহার হয়ে থাকে। এই কাজ গুলো পারলে আপনি যেমন অভিজ্ঞতার দিক দিয়ে এগিয়ে থাকবেন ঠিক তেমনি চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে অন্যদের থেকে আপনাকে বেশি প্রাদ্ধান্য দেয়া হবে। সেই অল্প বয়সে কম্পিউটার চালানো শিখতে পারলে নিজে নিজে আধুনিক যুগের সম্পর্কে আপনি অনেক কিছু জানতে পারবেন । তাই নিজের বাসা বা বন্ধু কম্পিউটার ব্যবহার করে মাইক্রোফট ওয়ার্ড, এক্লসেল, ও পাওয়ার পয়েন্ট শিখে ফেলোন । তাছাড়া যাদের বাসাই কম্পিউটার নেই তারা ৫০০/১০০০ টাকা দিয়ে একটি ফুল কোর্স করে ফেলোন তাতে করে আপনি কাজ গুলো হাতে নাতে শিখতে পারবেন। আপনার এলাকার আশেপাশে দেখবেন বিভিন্ন প্রতিষ্টান কম্পিউটার মাইক্রোফট ওয়ার্ড, এক্লসেল, ও পাওয়ার পয়েন্ট কাজ শিখাচ্ছে।
বিদেশ পড়া লিখার ইচ্ছা আছে ? বিনা খরচে বিদেশ পড়ালেখাঃ
যদি আপনার জীবনে স্বপ্ন থাকে , আপনি জীবনে বড় হয়ে বিদেশে পড়ালেখা করতে যাবেন তাহলে এই সময় টা আপনার জন্য খুবি গুরুত্বপুর্ণ। যদি ইউরোপ , আমেরিকা বা জার্মানী ও জাপানে পড়ালেখা করতে যাওয়া ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনেক প্রথম চিন্তা করতে হবে এইসকল দেশে যেতে হলে আমাকে কি করতে হবে এবং কি কি লাগবে। এইটা জানার জন্য কারো কাছে যেতে হবে না । বিশেষ করে কোন এজেঞ্ছির কাছে ভুলে ও যাবেন না কারণ তারা আপনাকে সহজ পথের স্বপ্ন দেখাবে এবং আপনার কাছ থেকে মোটা অংকের একটা টাকা নিয়ে নিবে । তাই নিজে নিজে কিছু করতে শিখুন। এখন যারা ফেসবুক , গুগুল ও ইউটীউব কে সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারে তাদের তথ্য পাওয়ার জন্য অন্য কারো কাছে যেতে হয় না। আপনি যা জানতে ইচ্ছে করে তা লিখে ফেসবুক , গুগুল ও ইউটীউব এ সার্চ করেন । আপনি অহর অহর তথ্য পেয়ে যাবেন যা ভিডিও , অডিও , মেসেজ টেস্ট ও আর্টীকেল আকারে । তাই বিদেশ যাওয়ার স্বপ্ন পুর্ণ করতে চাইলে আগে ফেসবুক , গুগুল ও ইউটীউব এর সঠিক ব্যবহার শিখুন ।
বিশেষ করে বিদেশ পড়তে চাইলে আপনাকে ঐদেশের ভার্সিটি বা কলেজ গুলো কি চাচ্ছে সেইটা দেখতে হবে তবে সবসময় তারা আপনার একাডেমি রেজাল্ট ও ভাষাগত দক্ষতা দেখবে ।আপনার একাডেমিক রেজাল্ট ও ভালো ইংরেজি দক্ষতা থাকে তাহলে বিশ্বের যেকোন দেশে বিনা খরচে পড়ালেখার করতে পারবেন সেই সুযোগ এখন সচরাচর অনেক পাবেন। যদি আপনি তাদের ভাষা শিখতে পারেন তাহলে আপনার জন্য তাদের দেশে যাওয়া খুবি সহজ হবে । কিন্তু আমাদের দেশের মানুষ অন্য একটি দেশের ভাষা শিখার ক্ষেত্রে খুব অনিহা প্রকাশ করে থাকে । তার মানে এই না আপনি ঐদেশের ভাষা না পারলে , আপনি ঐদেশে যেতে পারবেন । বিশ্বে প্রায় সব গুলো দেশে যেতে পারবেন যদি আপনার ইংরেজি ভাষা ভালো করে জানা থাকে। ইংরেজি বিশ্বের মধ্যে ২য় মাতৃভাষা হিসেবে বিবেচনা করা হয় । তাই এখন থেকে ইংরেজি টা ভালো করা শিখা শুরু করুন । বিশেষ করে জাপান, জার্মানি ও ইউরোপের দেশ গুলো যেতে চান তাহলে তাদের দেশে ভাষা শিখলে ও যেতে পারবেন তখন আর ইংরেজি ভাষার প্রয়োজন হবে না। তাই আপনাকে এখন পছন্দ করতে হবে কোন টী করবেন । তবে আমি রিকমেন্ড করব ইংরেজি কে ভালো করে শিখুন আর যদি জাপান বা জার্মানী যেতে ইচ্ছুক তাহলে তাদের দেশের ভাষা গুলো শিখে ফেলোন। বিনা খরচ পড়া লিখা করে , ওখানে স্থায়ীভাবে বসবাস করতে পারবেন। তাই এই সময় কে যেকোন একটি ভাষা শিখার ক্ষেতে কাজে লাগানো উচিত।
কিভাবে ফেসবুক , গুগুল ও ইউটিব থেকে টাকা আয় করব ?
টাকা ইনকাম করার ইচ্ছা কার না থাকে। সবাই চাই অনেক বেশি টাকা আয় করবে । সবার থেকে বেশি টাকা আয় করে , সবাইকে দেখিয়ে দিবে ইত্যাদি । তবে এই সকল ব্যাপার গুলো এক সময় স্বপ্ন মনে হলেও এখন বাস্তবে করা যাচ্ছে। সঠিক গাইড লাইন ও সঠিক পথে ভালো শ্রমের বিনিময়ে পেতে পারেন সেই কাংক্ষিত আয়ের উৎস । বর্তমান যুগে ছোট বাচ্চাও ফেসবুক , গুগুল ও ইউটিব থেকে কোটি কোটি টাকা ইনকাম করছে। তাহলে আপনি কেন পারবেন না ?
ফেসবুক , গুগুল ও ইউটিব থেকে আয় আসলে প্রথমে আপনি বলবেন কিভাবে ? ইউটিউব এবং গুগুল মামাকে জিজ্ঞাসা করুন তাহলে অনেক অনেক সুন্দর সুন্দর উওর পেয়ে যাবেন। কিভাবে ফেসবুক , গুগুল ও ইউটিব থেকে করবেন এই গুলো নিয়ে ইউটিউবে হাজার হাজার ভিডীও আছে যা তারা আপনাকে সরাসরি দেখিয়ে দিছে কিভাবে কি করতে হবে। তবে আমি না বললে কেমন দেখায় না । তাই আমি ছোট করে কিছু বলে দিচ্ছি তা প্রয়োগ করে ভালো এমাউন্টএর টাকা ইনকাম করতে পারবেন। বিশেষ করে আগে জানোট হবে আপনি কি করতে ভালোবাসেন । আপনি সেই কাজ করতে ভালবাসেন সেই কাজটি দিয়ে শুরু করুন প্রথম। তবে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে হলে আপনাকে ভিডিও তৈরি করতে হবে তাই আপনি যেই কাজ করতে ভালোবাসেন এবং আপনি যদি চিন্তা করেন সেই কাজের ভিডিও গুলো মানুষ দেখবে তাহলে আজ থেকে ভিডিও তৈরি করা শুরু করুন আর ইনকাম ও শুরু করুন। আর একটা এখন থেকে ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। ইউটীউবের মত একই রকমভাবে ফেসবুকে ভিডিও তৈরি করে আপলোড দিয়ে টাকা ইনকাম করা যায়। ফেসবুক থেকে টাকা ইনকাম করতে হলে আপনার একটি ফেসবুক পেইজ লাগবে ।
আপনার নিজের ফেসবুক আইডির মধ্যে একটি পেইজ খোলন এবং সেখানে ভিডিও আপলোড দেন তবে নিজের তৈরি ভিডীও হতে হবে । আপনার পেইজে যখন ১০ হাজার লাইক বা ফ্রলোয়ার হবে ও ৬০ দিনের মধ্যে ৩০ হাজার ঘন্টা ওয়াচ টাইম হবে ৩ মিনিটের ভিডিও থেকে তখন আপনার একটি ব্যাংক একাউন্ট এড করে দেন তাহলে ফেসবুক থেকে আপনার টাকা ইনকাম শুরু হয়ে যাবে।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে হলে , একটি ইমেল বা জিমেল আইডি লাগবে এবং সেই জিমেল আইডির আন্ডারে একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলে ফেলোন । কিভাবে ইউটীউব চ্যানেল খোলতে হয় সেইটি জানার জন্য ইউটীউব কে জিজ্ঞাস করুন অনেক ভিডিও পেয়ে যাবেন। সেটি দেখে ইউটীউব চ্যানেল খোলন। তারপর ১ বছরের মধ্যে ১০০০ সাবস্কাইব ও ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম পুর্ণ করুন । ১০০০ সাবস্কাইব ও ৪ হাজার ঘন্টা ওয়াচটাইম পুর্ণ করুন হলে মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করুন এবং মনিটাইজেশন পেয়ে গেলে আপনার ব্যাংক একাউন্ট এড করুন আর টাকা আয় করুন।
একটা কথাঃ ফেসবুকের পেইজ এবং ইউটিউবের চ্যানেল খোলতে কোন টাকা লাগে না। তাই জীবনে সঠিক সময় , সঠিক সিদ্ধান্ত নেন এবং সময় কে কাজে লাগিয়ে ভালো কিছু করেন ।
উপরের যেই বিষয় গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে সেই গুলো থেকে যদি একটি ও জীবনে কাজে লাগতে পারেন ভালো করে তাহলে জীবনে অনেক কিছু করতে পারবেন সেই বিশ্বাস রাখতে পারে তাই সব সময় ভালো থাকুন এবং মানব সেবা করুন ও মানুষ কে ভালোবাসুন ।