ঢাকার জিঞ্জিরা প্রাসাদ জীবন বিত্রান্ত ইতিহাস

ঢাকার জিঞ্জিরা প্রাসাদ


বেগম লুৎফুন্নেসা জীবন কাহিনী জিনজিরা হীরাঝিল প্রাসাদ নবাব সিরাজউদ্দৌলা নবাব সিরাজউদ্দৌলার কবর কোথায় নবাব সিরাজ দৌলার বাড়ি সিরাজউদ্দৌলা নাটকের মোট চরিত্র কয়টি নবাব সিরাজউদ্দৌলার পতনের কারণ
ঢাকার জিঞ্জিরা প্রাসাদ জীবন বিত্রান্ত ইতিহাস 


পলাশ যুদ্ধের পর নবাব সিরাজউদ্দৌলা স্ত্রী, কণ্যা ও খালা গশেটি বেগম কে এই জিঞ্জিরা প্রাসাদে বুন্ধ করা রাখ্য হয়েছিল , পরে তাদের কি হয়েছিল এবং এই মুহুর্তে জিঞ্জিরা প্রাসাদের কি অবস্তা । বর্তমান জিঞ্জিরা প্রাসাদ আছে কিনা আর যদিও থেকে থাকে আপনি দেখতে পারবেন কিনা তাছাড়া কি কি সমস্যার সম্মুখিন হতে হবে ও কিভাবে ওখানে যাবেন এই সকল ইত্যাদি বিষয় নিয়ে আলোচনা করা হবে।  কালের দোরাতে আর প্রভাশালীদের ক্ষমতার উপব্যবহারের কারণে প্রাসাদ এখন কি অবস্তায় আছে >  তাই লিখা টা প্রথম থেকে ভালোভাবে পড়তে থাকুন আশা করি  সব কিছু জানতে পারবেন।


ঢাকা শহর কিভাবে যাবেন ? 

 ** পুরান ঢাকার সুয়ারি গার্ড । ঢাকা রাজধানীর সাথে দক্ষিন বংগের নোপথ কে কেন্দ্র করে উঠে ব্যবসা বানিজ্যের জন্য খুব ব্যস্ততম ঘাট এটী। জিঞ্জিরা যাওয়ার জন্য আপনাকে বুরিগংঘা ঘাটে যেতে হবে তবে বংজ্ঞবাজার ব্রীজ দিয়ে জিঞ্জিরা যাওয়া যায়। তবে নো পারা পারের এই সংক্ষিপ্ত পথ টি আপনার কাছে সাশ্রয়ী হবে এবং খুব সহজে ২০ টাকা নোকা ভায়া করে নদীর এক পাশ থেকে অন্য পাশে চলে যেতে পারবেন। বিষেশ করে আপনার সময় অনেক বেছে যাবে , তাছাড়া আপনি ঘাটে যাওয়ার পর অনেক নোকা দেখতে পাবেন । ওখানে বিভিন্ন মাঝি নোকা নিয়ে সারি সারি বসে আছে। তাই মাত্র ২০ টাকা খরচ করে আপনি ঢাকার রাজধানী থেকে জিঞ্জিরা চলে যেতে পারবেন। নোকা ভাড়ায় ব্যপারে আর একটি কথা বলা রাখা ভালো যদি আপনি অন্য মানুষের সাথে শেয়ার করে নোকা দিয়ে যেতে চান তাতে করে আপনার খরচ পরবে মাত্র ৫ টাকা আর একা একটি নোকা নিলে খরচ পরবে মাত্র ২০ টাকা । জিঞ্জিরা  প্রাসাদে যেতে নদী পাড় হতে ৫ মিনিট লাগবে তাতে কম বেশি হতে পারে। জিঞ্জিরা এলাকাটি ঢাকার কেরানিগঞ্জ এলাকায় অবস্তা আছে । 


নোকা থেকে নামার পর খুব সহজে ঢাকার রিক্সাসা দিয়ে চলে যেতে পারবেন জিঞ্জিরা প্রাসাদে । তবে আপনি কিছুটা অভাক হতে পারেন , নোকা থেকে নামার পর যদি রিক্সসা উলাকে জিজ্ঞাসা করে জিঞ্জিরা প্রাসাদে যাবো তাতে করে অনেক চিনবে না । কি অভাক হচ্ছেন , এতো বিখ্যাত একটা প্রসাদ রিক্সাওলা ও চিনে না , আর অভাক হবেন এলাকার অনেক স্থায়ী যারা আছে তারও তেমন চিনে না বলে সমুধ্ন  করবে । তাতে করে থেমে গেলে হবে না । কিছু সংখ্যক মানুষ কে জিজ্ঞাসা করলে ফাইনলি এক জন কে না এক জন কে পেয়ে যাবেন। জিঞ্জিরা প্রাসাদ না চেনার অনেক গুলো কারণ আছে যার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, এলাকার প্রভাবশালিদের দক্ষল দারিত্ত্বর প্রভাবে জিঞ্জিরা প্রাসাদের অস্থিথ বিলিন হয়ে যাচ্ছে । তাই অনেকে চিনে না এবং কেউ খোজ খবর ও নেই না। তবে আপনি গুগুল ম্যাপ এর মাধ্যমে খুজে নিতে পারবেন । 



একটু ইতিহাস বলিঃ

জিঞ্জিরা শব্দ টি আরবি জাজিরার বিক্রিত রুপ যার অর্থ আইল্যান্ড বা দীপ  । ১৬২০-২১ খ্রিষ্টাব্দ এ জিঞ্জিরা প্রাসাদ নির্মাণ করে ছিলেন ততকালীন মুগুল সম্রাট সুবেদার ইব্রাহিম খাঁ । আজকে থেকে প্রায় ৪০০ বছর আগে জিঞ্জিরা সাথে চলাচলের জন্য বরিগংজ্ঞা নদীতে একটি কাটের শাকো ছিল । ১৭০২ সালে মুর্শিদকলী খাঁ রাজধানী মুর্শিদাবাদে সরিয়ে নেয়ার পত থেকে জিঞ্জিরা প্রাসাদ পরিত্যেক্ত হতে শুরু করে। গুগুল ম্যাপে জিঞ্জিরা প্রাসাদের আশে পাশে একটি মসজিদ দেখতে পাবেন তাতে করে কিছু টা সহজে প্রাসাদে যেতে পারবেন। তবে না চিনলে , কাউকে জিজ্ঞাসা করলে অনেকে ভালো ভাবে নিবে না। তাদের ভাব মুরতি এই রকম আপনি মনে হয় এই প্রাসাদ নিয়ে যাবেন বা আপনি কোন সাংবাদিক ইত্যাদি।  তবে অনেকে আপনাকে ওখানে যা যেতে বলবে তারপর চেতে পারবেন তবে আপনার মধ্যে তখন একটি ভয় কাজ করবে স্বাভাবিক। ওখানে ২ টা প্রাসাদ আছে যার মধ্যে একটি মুল আর অন্যটি মোটামোটি অবস্তা । মোটামোটি যেই প্রাসাদ সেইটা যেতে চাইলে আপনি যেতে পারেন তবে কিছু সমস্যার সমুখিন হতে পারেন । বিশেষ করে আপনাকে অনেকে ভয় দেখাবে ওখানে না যাওয়ার জন্য । তবে সবাই কে ম্যানেজ করে যদি কষ্ট করে ডুকে যেতে পারেন তাহলে কিছু টা অভাক হবেন । এই সেই প্রাসাদ যার উপর অনেক ইতিহাস জরিয়ে আছে। তবে চোখে দেখলেই বিশ্বাস হবে , এতো বিখ্যাত একটি প্রাসাদ এতো নোংরা ও অপরিষ্কার হতে পারে । সরকারি এই গুলো দেখা না ইত্যাদি নানা রকম প্রশ্ন মাথায় কাজ করবে। 


এই প্রাসাদে বন্ধী ছিলেন , সিরাজউদোলার স্ত্রী লুতফুন্নেসা, মেয়ে উম্মে জোহরা , মা আমেনা বেগম ও নানা আলীবর্দি খার প্রধান রানী শরফনেসা । যার সরর্যন্ত্রে ২৫০ বছরের রাজ্রত চলে যায় , এখান থেকে  ঘষেটি বেগম কে এখানে বন্ধি করে রাখা হয় এবং পরে মীর জাফরের পুত্র মীরণের নির্দেশেই ঘষেটি বেগম ও আমেনা বেগম কে একটি নোকায় তুলা হয় ও নোকিয়া  দিয়ে যাওয়ার সময় বড়িগঞ্জা নদীতে ঘষেটি বেগম চুবিয়ে মারা  হয়েছিল। কি নির্মম এক ইতিহাস । নবাব সিরাজউদোলার পরিবার এখানে প্রায় ৮ বছর বন্ধি ছিল পরে লর্ড কর্ডের নির্দেশে নবার সিরাজউদোলার স্ত্রী ও কন্যা কে মুর্শিদাবাদে নেনা হয়। সেই সাথে তাদের কে একটি মাসিক সামান্ন ভাতা দেয়া হত। 


এক সময় মুশিদাবাদে যারা কাঠিয়েছে আরময়াশের জীবন কাঠাত , কালের বিবর্তনে  তারা হয়ে যায় বন্ধীশালার কয়েদি । কি এই নির্মম ইতিহাস , চলোন আরো একটু বলি, ঘষেটি বেগম কি চক্ররান্ত করে ছিল , নবাব সিরাজউদ্দিন দোলা কে সিংগ্রাসন থেকে প্রতারিত করে তারা হবেন সকল ক্ষমতার অধিকারি। কিন্তু তার ভাজ্ঞে সেটি আর জুটেনি। তাকে ক্ষমতা দেয়াত  দুরের কথা, তাকে কোন অংশীধারও করা হয় উল্ট তাদের কে নির্মম বন্ধীশালায় বন্ধী করে রাখা হয়েছিল । আপনাকে একটি লিখা দেখলে আরো চমকে উঠবেন । এই বড়িগঞ্জা নদীতে ঘটিশী বেগম কে চুবিয়ে মারা হয় যা করে ছিল ইংরেজরা । মানুষের সাথে বেইমানী করলে পরিনতি কি হয় সেইটি ঘষীটি বেগম থেকে মানুষ শিক্ষা নিতে পারে। 


প্রাসাদ প্রভাব শালীদের প্রভাবে অনেক টাই নষ্ট হয়ে গেছে তবে নিজ চোখে ডিজাইন দেখলে বুঝতে পারবেন আসলে অতিত অনেক সন্দুর ছিল ।  

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Recent in Sports