তুরস্কের আরেক জাদুঘর মসজিদে রূপান্তরিত হচ্ছে -এরদোয়ান

 মুসলিম বিশ্বের সাহসী দেশের তালিকা যদি করা হয় তাহলে  সবার চেয়ে এগিয়ে থাকবে তুরুস্ক। তুরুস্কতে বিখ্যাত টিভি সিরিজ ডিরিরুলস আর্তুগুল এ এইটি আরো অনেক সুন্দর করে ফুঠিয়ে তুলছে। যারা  সিরিজ ডিরিরুলস আর্তুগুল দেখেছেন তারা খুব ভালো বুঝবেন আসলে উসমান সাম্রজ কি। 



তুরুস্কুর উসমান সাম্রজের সময় সব দিকে মুসমানদের জয় জয় কার ছিল খুব প্রকট।  সেই সময় বিভিন্ন উসমান সাম্রজের সুলতান গন বিভিন্ন বড় বড়  মুসজিদ প্রতিস্থাপণ করতেন কারণ তাদের বিশ্বাস ও ভালোবাসা ইসলামের প্রতি ছিল অতুলীয় । কিন্তু সময়ের সাথে সাথে যখন উসমান সাম্রজ ধবংস হয়ে যায় এবং ইহোদিন খিষ্টান্রা উসমান সাম্রজ ভেংজ্ঞে দেয় তখন উসমান সাম্রজ অনেক টা ছোট হয়ে যায়। তাতে করে উসমান সাম্রজ ভেংজ্ঞে প্রায় ৪৮ টি স্বাধীন রাষ্ট্র ঘটন করে। কিন্তু উসমান সাম্রজের সময় প্রতিষ্টা করা অনেক মুসজিদ চলে যায় ইহোদি খিষ্ট্রান্দের হাতে । আর সেই সুভাবে সেই সকল মুসজিদ গুলো কে তারা দখল করে  এবং সেখানে মদের ব্রার, জাদুঘর, নাইট ক্লাব ও গীর্জা ইত্যাদি  প্রতিষ্টা করে যা মুসলিম বিশ্বর জন্য খুবি ন্যকার জনক । 



বর্তমান তুরুস্কের সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রেসিডেন্ট হচ্ছেন রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান। তুরস্কের রাজধানী ইস্তাম্বুলে অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের একটি চার্চ রয়েছে কিন্তু এক সময় এইটি মুসজিদ ছিল । তবে বর্তমান এইটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখন প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান নির্দেশ দিয়েছেন এই জাদুঘর টি যেন মুসজিদ করা হয়। 


জনপ্রিয় সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরা জানায়,  আজ শুক্রবার এরদোয়ান এই নির্দেশ  দেন। 


আমরা জানি কিছু দিন আগে হায়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর কয়া হয় যা ইউনেস্কো ঘোষিত বিশ্বঐতিহ্য স্থান হিসেবে সুপরিচিত। হায়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তর করার ১ মাস পর "কারিয়ে মিউজিয়াম" নামে পরিচিত এই চার্চটি কে মসজিদে রূপান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হলো । 


প্রায় এক হাজার বছর পুরোনো এই জাদুঘর ইউরোপ-ঘেঁষা ইস্তাম্বুলের ‘গোল্ডেন হর্ন’ এলাকার প্রাচীন নিদর্শন।



তুরুস্কের ইস্তাম্বুলে খোলামেলা এলাকায় বাইজেন্টাইনরা চার্চ হিসেবে এইটী প্রতিষ্ঠা করেছিল । চতুর্দশ শতকের চমৎকার সব দেয়াল চিত্র দিয়ে ভবনটির ভিতর  সুসজ্জিত করা হয়েছিল ।


তবে অটোমানরা ১৪৫৩ সালে কনস্টানটিনোপোল তথা বর্তমান ইস্তাম্বুল দখল করে নিলে গির্জাটি মসজিদে পরিণত করা হয় এবং  নাম করণ করা হয় কারিয়ে মসজিদ নামে ।


দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর তুরুস্কের প্রেসিডেন্ট কামাল আতাতুর্কের নেতৃত্বে তুরস্ক ধর্ম নিরপেক্ষতার  রাজনীতি শুরু করায়  কারিয়ে মসজিদটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়।


আমেরিকার ১ দল বিখ্যাত  শিল্প ইতিহাসবিদদের সহায়তায় ভবনটির চার্চ আমলের মোজাইক কারু কাজ গুলো উদ্ধার করেছিল । কিন্তু সংস্কারকাজ শেষ করার পর, ১৯৫৮ সালে এটি জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। 



তুরুস্কের প্রেসিডেন্ট এর্দোগান বিশ্বের কাছে খুব জনপ্রিয় একজন মানুষ বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বের অনেক মুসলিম তাকে খুব পছন্দ করেন। তিনি সাহসী কথার সাথে তারা দেশ কে নেত্রীত্ব দিয়ে আসসছেন । ২০১৬ সালে  তার বিরুদ্ধে নানা রকম চক্রান্ত হয়েছিল এমন কি ঐদেশের সেনাবাহিনী তার বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে । তাকে ক্ষমতা থেকে সরাতে সেনা অবথান হয়ে ছিল কিন্তু শেষ পর্যন্ত তুরুস্কের মানুষের ভালোবাসার কাছে হার মানে সেই দেশের সেনা বাহিনী ও এর্দোগান সর্যন্ত্রকারী। ২০১৬ সাল ছিল এর্দোগানের জন্য সবচেয়ে বড় পরীক্ষার ক্ষেত্র আর যদি সেই  পরীক্ষা হেরে যেতেন তাহলে তিনি সহ তারা দেশ সিরিয়া , ইরাক , ইরানের মত ভয়াবহ অবস্তা হত। তবে সব কিছুর উর্ধে ছিল জনগণের ভালোবাসা ও এর্দোগাঙ্কে সঠিক রাষ্ট্র নেত্রা হিসেবে পছন্দ করা । 


২০১৬ সালের পর থেকে এর্দোগানের জনপ্রিয়তা হুর হুর করে আরো অনেক বেশি বেড়ে যায় । বিষেশ করে বিশ্বের অনেক দেশ এর্দোগান কে চিন্ততে পারে এবং তার সাহসীকতা ও প্রখোট মেধা নিয়ে সবাই আলোচনা করেন এবং সেই সাথে তিনি মুসলিম বিশ্বের অনেকের কাছে এক হিরু হয়ে উঠেন। ২০১৬ সালের সেনা অবথানের সময় প্রায় ১৬০০ মানুষ মারা গিয়েছিল এবং এর্দোগান কে মেরে ফেলার ব্যবস্তা করা হয়েছিল কিন্তু ভাগ্যের কি নির্নম পরিহাস মহান সৃষ্টীকর্তার রহমতে তিনি বেছে যান। সেই দিন রাতে তিনি একটি ভিডিও কলের মাধ্যেমে এই দেশের মানুষ কে দেশ বাচানোর ঢাক দেন এবং তার ডাকা সারা দিয়ে প্রায় রাত ১১ টার দিকে তুরুস্কের ৪ দিকের মানুষ রাস্তায় নেমে পরেন এবং জনগণের সাথে সেনাবাহিনীর সংঘর্ষ হয় তাতে করে অনেক মানুষ মারা যায় এবং রাত শেষ হলে সকাল বেলা বাকি সেনাবাহিনীর সদস্যরা আতসমর্পন  করেন । সেই সাথে সেনা অবথান ঘঠে এবং এর্দোগান হয়ে যান তুরুস্কের নক্ষত । 


২০১৬ সালের কয় এক বছর পর এর্দোগান ঘোষণা দেন নতুন করে নির্বাচন করার । কারণ তিনি তখন বুঝতে পারতেছিলেন তার জনপ্রিয়তাকে সঠিক কাজে লাগানোয়র এইটাই উপযুক্ত সময় । নতুন নিয়মে সংবিধান সংশোধন করে তিনি নির্বাচন করেন আর সেই নির্বাচনের প্রধান লক্ষ ছিল ২০৩০ সাল পর্যন্ত তাতে জনগণ চাই কিনা । বরাবরের মত তার প্রভল জনপ্রিয়তার জন্য ২০১৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হন এবং ২০৩০ সাল পর্যন্ত স্থায়ী প্রেসিডেন্ট হয়ে যান এর্দোগান । 


এর্দোগান বিশ্বের মুসলিমদের কাছে এতো জনপ্রিয় হোয়ার অনেক গুলো কারণের মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ হলো , এর্দোগান মুসলিম দের কে খুব ভালোবাসেন এবং মুসলিমদের কোথাও কোন অত্যাচার দেখলে তিনি সবার আগে সেইটা বিরুদ্ধীতা করেন । তাছাড়া সিরিয়া , ইরাক , ও ইরানের সাথে মিলি তিনি মুসলিম রাষ্ট্র গুলোকে আগলে রেখেছেন । এমন  কি বাংলাদেশের সাথে সব সময় ভালো উপকারী দল নেত্রা হিসেবে পরিচয় দিয়ে গেছেন । ২০১৬ সালের যখন রোহিংগা আক্রমনের ফলে বাংলাদেশে এসে প্রচুর মানুষ আশ্রয় নিয়ে চিলো তাদের পাশে তাতক্ষনিক এর্দোগান দাঁড়িয়ে ছিলেন সেই সাথে তিনি তার প্রিয়তম স্ত্রীকে বাংলাদেশে সর জমিনে দেখতে পাঠিয়ে ছিলেন । 


তাছাড়া সব সময় এর্দোগান চেয়ে আসছেন বাংলাদেশের সাথে তাদের একটি ভালো সম্পর্ক থাকুক যদি ইন্ডিয়ার কারণে অনেক টা কষ্ট হচ্ছে যেকোন দেশের তারপর ও ইদানিং এর্দোগান বাংলাদেশের সাথে খুব মুধুর সম্পক্কক্র দিয়ে যাচ্ছেন । কিছু দিন হলো  , বাংলাদেশের প্রধান মন্ত্রী , এর্দোগান ও তার সহ পরিবারের সবাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন । আর তরুস্ক ও চাচ্ছে বাংলাদেশে নব গঠিত তুরুস্কের এম্ভাসি উদ্ভুদণ করতে । তাই এক সাথে ২ কাজ হয়ে যাবে সেই সাথে আশা করা যাচ্ছে বাংলাদেশ ও তুরুস্কের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠবে । 


গতকাল তুরুস্ক সরকার নিশ্চিত করেছে তারা বাংলাদেশ কে সুলভ মুল্যে পিয়াজ দিবে যা ইন্ডিয়ার মত পচা পিয়াজ আমাদানী থেকে বাংলাদেশ কে রক্ষা করবে।, 







Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Recent in Sports