বিশ্বের যেই দেশ গুলোর রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম - SHA News24



আমরা জানি , বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংস্থা গুলো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে গবেষণা করে থাকে । প্রত্যেক টা গবেষণা খুব নিখুতভাবে সবাই করার চেষ্টা করে। পৃথিবীতে রাষ্ট্র ২০৩ আছে যার মধ্যে স্বাধীন ১৯৫ রাষ্ট্র টি । 

যুক্তরাষ্ট্রের জনপ্রিয় গবেষণা সংস্থা পিউ’র তথ্য মতে, বিশ্বের ২৮ টি দেশের রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম বহাল আছে। বর্তমানে বিশ্বের মোট জনসংখ্যা ৭৩০ কোটি তার মধ্যে মুসলিম জনসংখ্যা ২য় অবস্তায় অবস্থিত। অন্যদিক দিয়ে দেশ ব্যাপি জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্তা ৪র্থ। 


তবে একটা ব্যাপার উল্লেখ্যযোগ্য যে, বিশ্বের ১২০ টি ও অধিক দেশের মুসলমান থাকা সত্বেও ঐসব দেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম নয়। কিছু দেশ আছে যেখানে মুসলিম কম হলেও কিন্তু তারা খুব প্রভাবশালী। তবে এখানে যেই ২৮ টি রাষ্ট্রর কথা বলা হয়েছে তারা সবাই ইসলাম্পন্থি এবং ইসলাম কে খুব ভালোবাসে তাই তাদের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম হিসাবে মানা হয়। এসব রাষ্ট্র  গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, বাংলাদেশ,  ইরাক, ইরান, পাকিস্তান, কুয়েত, সৌদি আরব, মিশন ও মরক্কো । 


যত গুলো মুসলিম দেশ আছে সব গুলো একত্রে মুসলিম বিশ্ব বলা হয় এবং এই সকল দেশ গুলোর মধ্যে বেশি সংখ্যক দেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম।

বিশ্বের যেসব দেশের রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম সে দেশগুলো নাম নিচে দেখুন- 

১.বাংলাদেশ, 

২.সৌদি আরব, 

৩.কুয়েত, 

৪.ওমান, 

৫.সংযুক্ত 

৬.আরব 

৭.আমিরাত, 

৮.বাহরাইন,

 ৯.ইয়েমেন,

 ১০.কাতার, 

১১.জর্ডান, 

১২.মালদ্বীপ,

 ১৩.মালয়েশিয়া, 

১৪.ব্রুনাই, 

১৫.আফগানিস্তান,

 ১৬.ফিলিস্তিন, 

১৭.ইরাক, 

১৮.ইরান, 

১৯.পাকিস্তান,

 ২০.মিসর, 

২১.মরক্কো, 

২২.সোমালিয়া, 

২৩.লিবিয়া,

 ২৪.কোমোরোস,

 ২৪.আলজেরিয়া, 

২৬.তিউনিসিয়া, 

২৭.জিবুতি 

২৮.মৌরিতানিয়া । 


কিছু কিছু খুশির সংবাদ আরো জানা ভালো, যেমন-  ২০১৭ সালে বিশ্বের জনসংখ্যার ১.৮ বিলিয়ন এর বেশি বা ২.৪.১% ছিল মুসলিম। তবে বিশ্বের মধ্যে মুসলামদের উপর অত্যাচার-নির্যাতন বেড়ে যাওয়া সত্ত্বেও প্রত্যেকদিন  অনেক অনেক মানুষ পবিত্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতেছেন। সেই সাথে দিন দিন বেড়েই যাচ্ছে মুসমিল জনসংখ্যা।  এক জরিপে এসেছে , এইভাবে মুসলিম জনসংখ্যা বাড়তে থাকলে , আগামী ৩৫-৪০ বছরের মধ্যে বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৭০ ভাগ হবে মুসলিম। জরিপে আরো এসেছে মুসলিম সংখ্যার দিক দিয়ে বিশ্বের প্রথম দেশ হবে ভারত। যদিও এখন এই অবস্তান টা এখয় ইন্দোনেশিয়ার হাতে। আর ২০৫০ সালে আমেরিকা ও ইউরোপের রাষ্ট্র গুলোর মধ্যে খিষ্ট্রান ও ইহোদি ধর্মে সংখ্যা অনেক কমে যাবে। 



ইসলাম ধর্ম নিয়ে আলোচনা সমালোচনা কেন । ইসলাম ধর্মের উৎপতি কোথায়  ? 


ইসলাম অর্থ শান্তি আর ইসলাম ধর্ম মানে হচ্ছে শান্তির ধর্ম । যার অমুসলিম তাদের মধ্যে অনেকে ধারণা ইসলাম ধর্মের আবিরভাব হয়েছিল হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) মাধ্যেম যা প্রায় ১৪ শত বছর আগে । কিন্তু একজন মুসলিম মানুষ হিসেবে এই ধারণা সম্পুর্ণ রুপে অন্য রকম । ইসলাম মানে হচ্ছে শান্তি আর এই ইসলাম ধর্মে মুল ব্যাতি হচ্ছে এক আল্লাহ কে বিশ্বাস এবং আল্লাহ পাকের উপর নিজেকে আতস্রমপণ করা ।  


প্রত্যেক টা মুসলিম মনে করে ইসলাম ধর্ম সৃষ্টী হয়ছে যখন মহান আল্লাহ পাক পৃথিবীতে প্রথম মানব আদম ও হাওয়া (রা) পাঠিয়ে ছিলেন তখন থেকে এবং সেই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নবী রাসুল পাঠিয়েছিলেন এক আল্লাহ উপর বিশ্বাস তৈরি করা ।প্রথম মানব হযরত আদম ( রাঃ)  ও ছিল একজন নবী এবং মুসলিম জানাহের আদি পিতা । আর হযরত আদম ও হাওয়া (রাঃ) সব সময় চেষ্টা করে গেছেন মানুষ কে ইসলামের সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং এক আল্লাহ বিশ্বাস মানুষের ভিতরে তৈরি করার চেষ্টা করে ছিলেন ।  তাই বলা যায় ইসলাম ধর্ম মাত্র ১৪ বছর আগে থেকে শুরু হয়নি । ইসলাম ধর্মে শুরু হয়েহচে যখন আল্লাহ পাক পৃথিবীতে প্রথম মানুষ পাঠিয়ে ছিলেন তখন থেকে। 


আলাহ পাক যুগে যুগে বিভিন্ন নবী রাসুল পৃথিবীতে প্রেরণ করছিলেন এই মানব জাতির পথ পদর্শক হিসেবে । প্রথম নবী আদম ও হাওয়া থেকে শুরু করে শেষ নবী হযরত মোহাম্মদ ( সাঃ) পর্যন্ত লক্ষ লক্ষ নবী রাসুল প্রেরণ করেছিলেন । আর সে নবী দের আগমণ সমাপ্ত করেছিলেন আমাদের প্রিয়নবী হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) দিকে । তাই এখন প্রত্যেক টা মুসলিম এক আল্লাহ এবং  হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) কে শেষ নবী হিসেবে বিশ্বাস করতে হবে । এই বিশ্বাসের নামি মুসলিম । মুসলিম হওয়ার পর জীবন চলার পথে কিভাবে চললে আল্লাহ পাকের সান্নিধ পাওয়া যাবে সেই দিক নির্দেশনা দেখিয়ে গেছেন আমাদের প্রিয় নবী  হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) এবং যেই ব্যাক্তি  হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) জীবন অনুসরণ করতে তার ইহকাল ও পরকার আলোকিত হয়ে যাবে । তাই প্রত্যেক মুসলামানের আদর্শ হচ্ছেন , প্রিয় নবী  হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) । 


আজকের যেই ইসলাম আমরা পেয়েছি , ১৪ শত বছর আগে ইসলাম ধর্ম পালণ কতা এতো সহজ ছিল না ।  হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) আল্লাহ পাকের নির্দেশে বিভিন্ন ভাবে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে এই ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্টিত করে ছিলেন । যখন কার যুগে পৃথিবীতে এতো মুসলমান ছিল না । তখন বেশি সংখ্যক মানুষ মুর্তির  পুজা করত এবং সেই সময় কে জাহিলিয়াতের যুগ বলা হত । মানুষে কোন মুল্য ছিল না । মানুষ কে পশুর চেয়ে খারাপ অবস্তা দিয়ে যেতে হতো । এমন  কি মেয়ে শিশু জন্ম গ্রহণ করলে তাকে জীবিত পুতে ফেলা হতো । মানুষ কেনা বেচার যুগ ছিল । অল্প টাকায় মানুষ কে বিক্রি করে দিতো , ক্রিতদাস প্রথা ছিল । মানুষের মধ্যে বড় ছোট ব্যধাবেদ ছিল তাই ঐরকম কঠিন সময় মহান আল্লাহ পাক  হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) কে মানব জাতির শান্তির প্রতিক হিসেবে প্রেরণ করছিলেন ।  হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) কে শুধু মুসলিম জাতির জন্য প্রেরণ করেননি । মহান আল্লাহ পাক  হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) সমগ্র জাতির শান্তির প্রতিক হিসেবে প্রেরণ করেছিলেন । 


আল্লাহ নবী , আমাদের প্রিয় মানুষ  হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) ইসলাম ধর্ম প্রতিষ্টা করতে কঠোর পরিশ্রম করেছিলেন । বিভিন্ন সময় আল্লার নবী অনেক সমস্যা ফেস করতেন তখন আল্লাহ পাক জীবরাঈল (আঃ) এর মাধ্যমে  হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) কাছে বার্তা পাঠাতেন । সেই বার্তার মাধ্যেম সকল সমস্যার সমাধান দিয়ে দিতেন এবং ভবিষতে কি রকম সমস্যা হতে পারে আর যদি ঐরকম সমস্যা হয় তাহলে কিভাবে তা সমাধান করতে হবে সব কিছু আল্লাহ পাক বার্তার মাধ্যেমে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন।  তাই আমাদের প্রিয় নবী  হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) যা করেছেন এবং যা বলে গেছেন সেই গুলো যদি কোন মানুষ অনুসরণ করে তাহলে তার জীবন ইহকাল ও পরকার শুধু শান্তি আর শান্তি । 


আজকে আমরা মেডিল ইস্ট নাম যে দেশ গুলো চিনি তার মধ্যে অন্যরম সোদি আরব । যেখান আমাদের প্রিয়  হযরত মোহাম্মাদ (সাঃ) জন্ম গ্রহণ করেছিলনে । সোদি আরব, বাহারাম, ইরাক, ইরান , কাতার , ইয়েমেন,  মিশর, ফিলিস্তিন, সিরিয়া ,কুয়েত, লিবিয়া ও দুবাই এই সব গুলো আরব বিশ্বে হিসেবে ঢাকা হয় । এই সকল রাষ্ট্র গুলোর মধ্যে মুসলিম সংখ্যা ঘরিষ্টতা বেশি । এই দেশ গুলোর প্রায় ৯০% মানুষ ইসলাম ধর্মে অনুসারী ।  তবে বর্তমান সময় এর দিকে তাকালে আপনি খুব সহজে চিন্তা করতে পারবেন তারা আসলে কত টুকু সুখে আছে । কারণ আরব বিশ্বের দেশ গুলোর মধ্যে ২ ভাগ হয়ে আছে যার ফলে অন্য পক্ষ তাদের ক্রোদের ফাইদা নিচ্ছে এবং এর ফলে আরব কান্টী গুলো মধ্যে সব সময় যুদ্ধ অবস্তা সৃষ্টী হয়ে আছে। বিশেষ করে সোদি আরব - ইরান - ইরাক - ইয়েমেন - সিরিয়া- লিবিয়া  ও কুয়েত বহুদিন যাবত নিজ্বের মধ্যে যুদ্ধ অবস্থা সৃষ্টি করে রাখছে যার পুর্ন ফল ভোগ করছেন ৩য় পক্ষ , যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া ও চীন । 


আজকের এই প্ররিস্থিতি কোন দিন পরিবর্তন হবে না যদি না তারা নিজের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে না তুলে । তাই আরব বিশ্ব কে এই অপকর্মের চিন্তা করা উচিত। এই দিকে আরব বিশ্বে অমিলের কারণ ইসরাইল ও  ফিলিস্তিনির মধ্যে একটা খারাপ সম্পর্ক বিরাজ করে আস্তেছে সেই বহুদিন হয়ে যাচ্ছে । এই সমস্যা সমাধান আরব বিশ্ব কে বেশি অবধান রাখতে হবে নয়ত বা এই সমস্যার কোন দিন সমাধান পাওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে। 














Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Recent in Sports