ক্রিকেট বিশ্বে ২য় সর্বোচ্চ অবস্থায় বাংলাদেশ



ক্রিকেট বিশ্বে ২য় সর্বোচ্চ অবস্থায় বাংলাদেশ


বাংলাদেশ ক্রিকেট পাগল হিসেবে বিশ্বর সবার কাছে খুব সুপরিচিত। বাংলাদেশের যেকোন ম্যাচে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দর্শকদের উপচে পড়া ভীর দেখা যায়  । টাইংগার বক্তদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমেও  আলোচনা সমালোনার কমতি থাকে না। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভক্তদের জনপ্রিয়তা বিশ্বের মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোচ্ছ অবস্তা। 


দক্ষিণ এশিয়া ক্রিকেট খেলেড়ু দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ কে সবার উপর ধরা হয়। বাংলাদেশের ছোট শিশুটি থেকে শুরু করে বয়স্ক ব্যক্তিটি পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট কে ভালোবাসেন এবং এই আলোচনা সমালোচনা করেন। বিভিন্ন সময় সংবাদ মাধ্যেমে আমরা দেখে থাকি যে, রিকশাচালক কিংবা দিনমজুরও নিজের কাজ ফেলিয়ে রাস্তার পাশে চায়ের দোকানে বা বাড়িতে বসে খেলা  দেখতেছেন। ক্রিকেটের প্রতি এই দেশের মানুষের আবেগ অতুলীয়ন । 



আমার অনেকে জানি বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা ফুটবল কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা দিয়ে সেইটা ভুল  প্রমাণ করি দেখিয়েছেন। এইদেশে ফুটবলের চেয়ে ক্রিকেট প্রেমি একটু বেশি। বিশেষ করে যারা নিয়মিত ক্রিকেট খেলা দেখেন তারা খুব ভালো করে জানেন কিভাবে কোন খেলা কখন দেখতে হবে। আর এখনত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যেমে ইন্টারনেট দিয়ে যেকোন খেলা দেখা যায় তার মধ্যে অন্যতম ফেসবুক , ইউটিউব ও টুইটার। এখন বাংলাদেশের বেশি সংখ্যক মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খেলা দেখে থাকেন তাই এই দিক দিয়ে ক্রিকেট খেলেড়ু  দেশ গুলোর মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্রিকেট পাগল দর্শক সংখ্যা বিশ্বের মধ্যে ২য় স্থানে। 



জরিপে এসেছে, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ ক্রিকেটের অনুসারী সংখ্যা প্রায় ১৬.৩ মিলিয়ন বা ১ কোটি ৬৩ লাখ । যার মধ্যে থেকে বহুল পরিচিত ফেসবুকে বাংলাদেশের অনুসারী সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষের ও অধিক এবং একই সাথে টুইটারে বাংলাদেশের দর্শক সংখ্যা ২৫ লক্ষের অধিক। 


 ক্রিকেট বিশ্বে সবার উপর ভারত , বহুল জনগোশটির এই দেশটির ভক্ত সংখ্যা সবার ধরাছুওয়ার বাহিরে। তাদের অনুসারীর সংখ্যা প্রায়.৫৮.২ মিলিয়ন বা ৫ কোটি ৮২ লক্ষ । একই ভাবে ৩য় স্থান টি ধরে আছেন এশিয়ান অন্যতম ক্রিকেট পাগল দেশ পাকিস্তান। ৩য় স্থানে থাকা পাকিস্তানের অনুসারি প্রায় ১১.১ মিলিয়ন বা ১ কোটি ১১ লক্ষ দর্শক। 


বাংলাদেশ ক্রিকেট নিয়ে কিছু কথাঃ 

বাংলাদেশের মানুষ ক্রিকেট পাগল বিশ্বের প্রায় অনেক দেশ জানে । বিশেষ করে , পাকিস্তান ও ইন্ডিয়া সাথে টকর দিয়ে বাংলাদেশ খুব ভালো এগিয়ে যাচ্ছে । বাংলাদেশ কে এক সময় ছোট দল মনে করা হত কিন্তু  সময়ের পরিবর্তেনের সাথে সাথে বাংলাদেশ ক্রিকেটের মধ্যে অনেক পরিবর্তন চলে আসসছে যার কারণ বাংলাদেশ দল কে এখন আর কেউ ছোট করে মনে করতে পারে না । বিশ্বের মধ্যে যেকোন ক্রিকেট দল কে হারাতে সক্ষম । তাই বাংলাদেশ কে নিয়ে বিশ্বের প্রায় সব গুলো দেশ এখন অন্য রকম ভাবে চোখ আকতে হয় কিভাবে বাংলাদেশ কে পরাজিত করা যায় । 


২০১৫ সালের পর থেকে যেন এইটা অন্য এক বাংলাদেশ । ওয়ার্ড কাপ থেকে শুরু করে চ্যাম্পিয়াঞ্চ লীগে ও বাংলাদেশ চমক লাগিয়ে আসছে । এই চমকের পিছনে অধিনাকের নেত্রীতে দিচ্ছেন বাঙ্গালাদেশের প্রিয় খেলোয়ার মাশরাফি বিন মুর্তুজা । মাশরাফির হাত ধরে ঘুরে দাডায় বাংলাদেশ এবং বিশ্ব কে বাংগালীর জাত চিনিয়েছে। বর্তমান বাংলাদেশ ক্রিকেটে পঞ্ছ বান্ডব হিসেবে ৫ জন খুব সুপরিচিত যেমন সাকিব আল হাসান , তামিম, মাশরাফি, মুশফিক ও মাহামুদউল্লাহ । অনেকে মনে করতেছেন এই পঞ্ছপান্ডব চলে গেলে বাংলাদেশ দল ডুবে যাবে । কিন্তু এইটা যে মানুষের ভুল ধারণা তা প্রমাণ করে দিলেন বাঙ্গালী যুবারা । ২০১৯ সালের অনুর্ধ টি২০ বিশ্ব কাপ জয় করেছিল যা থেকে খুব সহজে প্রমাণ হয় আসলে বাংলার টাইগার আরো ভয়ংকর রুপ নিয়ে আস্তেছে। 


এশিয়ার মধ্যে ইন্ডিয়ার পর যদি কোন বড় দল হিসেবে ধরা হয় তাহলে সেইটা বাংলাদেশ  কারণ বাংলাদেশের কাছে এখন নিয়মিত লজ্জ্ব জনক ভাবে হেরে যাচ্ছি বাকি দল গুলো । তবে ইন্ডিয়ার সাথে ও বাংলাদেশ খুব ভালো খেলে কিন্তু ইন্ডিয়ার সাথে খেলার সময় বাংলাদেশের প্রেয়ার একটু ভীতু দেখায় যার কারণে খেলার আগে তারা হেরে যায় তাই অনেক সময় আমরা দেখেছি এবং দেখে থাকি , ইন্ডিয়ার সাথে জয় ম্যাচ ও আমরা জয় লাভ করতে পারি না । এই যে ২০১৪ সালে ইন্ডিয়ার সাথে টি২০ বিশ্বে কাপে বাংলাদেশ শেষ ৩ বলে ২ রান ধরকার ছিল যা বাংলাদেশ নিতে পারেনি । ওখানে ও ১ রাতে হারতে হয়েছিল বাংলাদেশ কে । তাই সব কিছু মিলিয়ে বুঝা যায় বাংলাদেশ আসলে ইন্ডিয়াকে এখন ও কাবো করতে শিখেনি । আপনি যদি অনুর্ধ টি২০ বিশ্ব কাপের দিক তাকান তাহলে এইটা আরও ভালো করে উপলব্ধদি করতে পারবেন কারণ তখন বাংলাদেশের যুবারা খুব আগ্রাসা ভমিকায় ছিল ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে । তাতে উলট ইন্ডিয়ার প্লেয়ার দের মধ্যে একটি ভয় ডুকে গিয়েছিল আর সেই সুযোগ টা বাংলাদেশ নিয়ে ছিল । সেই খেলার ফল সরুপ বাংলাদেশ যুবারা অনুর্ধ টি২০ বিশ্ব কাপ জিতেছিল ।


বাংলাদেশ ক্রিকেট দল কে এই ব্যাপার টা খুব ভালো করে মনে রাখা উচিত , কোন  দলের খেলায় কাউকে ছোট করে এবং কাউকে বড় করে দেখার কোন কারণ নেয়  । কারণ  এখানে সবাই সমান  , সবাই হাত দিয়ে খেল্বে এবং ব্যাট আর বল দিয়ে খেল্বে ঐরকম চিন্তা করতে হবে বিশেষ করে নিজেদের উপর বিশ্বাস রাখতে হবে , আমাদের কে দিয়ে কোন কিছু অসম্ভব না । এই ইচ্ছা শক্তি গুলো যেই দিন মনের ভিতর ডুকাতে পারবে সেই দিন বাংলাদেশ ক্রিকেট কে আর কেউ থামিয়ে রাখতে পারবে না । তখন বাংলাদেশ ক্রিকেট চলবে তার আপন শক্তিতে । 


বাংলাদেশের ক্রিকেট বোর্ড কে আরো বেশি সচেতন হতে হবে বিশেষ করে প্রতন্ত্য এলাকা থেকে খেলোয়ার তুলে নিয়ে আসতে হবে । তাতে করে বাংলাদেশের আনাচে কানাচে লোকিয়ে থাকা প্রতিভা গুলো কাজে লাগাতে পারবে । আর বিশ্বের করে গ্রামের ছেলে মেয়ে গুলো শহরের ছেলে মেয়ে থেকে একটু বেশি পরিশ্রমী হয় এবং তাদের মধ্যে আলাদা একটি ইচ্ছা শক্তি কাজ করে তাই গ্রাম বাংলার ছেলে মেয়ে রা যদি ক্রিকেট সুযোগ  পাই তাহলে নিসন্ধেহ বাংলাদেশের  ক্রিকেটের আমল পরিবর্তন হয়ে যাবে। তাই সরকার ও বিসিবি কে এই দিকে বেশি নজর রাখা উচিত। 


যদিও বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি কিন্তু বর্তমান কাবাডি তেমন কেউ খেলে না বললেই চলে , তাই এখন যেহেতু ক্রিকেট এবং ফুটবল বেশি জনপ্রিয় হয়ে উঠছে তাই এই ২ খেলা কে নিয়ে আলাদা চিন্তা করা উচিত । তারে বাংলাদেশ মানুষ বিশ্বকাপ নামক টুফিটা দেখতে পারতে এবং সেইটা নিজের করে নিতে পারবে । তবে ক্রিকেট পাগল জনগণ কে সরকার কিন্তু টিকি কাজে লাগাচ্ছেন কারণ বিভিন্ন কম্পানির কাছে উচ্চ দামে ক্রিকেটের স্পনারশীপ বিক্রি করার সুযোগ পাচ্ছেন । কারণ স্পসারশীপ কম্পানি গুলো খুব ভালো করে জানে এখানে টাকা খরচ করলে তাদের টাকা বিফলে যাবে না । তাই তাদের টাকার পরিমাণ বেশি হলেও সব সময় ক্রিকেটের সস্পসারশীপ নিতে অনেক কম্পানি চাই । আর সেই সুযোগ টা তৈরি হয়ে বাংলাদেশের মানুষের ক্রিকেটের প্রতি ভালোবাসা থাকায়। 


সবশেষ একটা কথায় বলব , কমল প্রিয় বাংলাদেশের জনগনের সপ্নের বিশ্বকাপ পাওয়া যেন এক দিন পুর্ণ হয় । গো বাংলাদেশ ক্রিকেট , আমরা আছি তোমার পাশে। 






Post a Comment (0)
Previous Post Next Post

Recent in Sports